ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ , ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১২০ টাকার ডাব ১৮০ টাকা,রসিদ না রাখলে ডাব ব্যবসা বন্ধ

বাংলার জমিন ডেস্ক :
আপলোড সময় : ২৯-০৮-২০২৩ ০৯:৫৫:২১ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় : ২৯-০৮-২০২৩ ০৯:৫৫:২১ পূর্বাহ্ন
১২০ টাকার ডাব ১৮০ টাকা,রসিদ না রাখলে ডাব ব্যবসা বন্ধ ছবি : সংগৃহীত
দেশব্যাপী ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধিতে বেড়েছে ডাবের চাহিদা। এতে করে ডাবের দাম নিয়ে চলছে চরম নৈরাজ্য। আকারভেদে রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রতিটি ডাব বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা পর্যন্ত।

সোমবার (২৮ আগস্ট) এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিকার অধিদফতরের প্রধান কার্যালয়ে ডাব ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে জানানো হয়, দাম বৃদ্ধির কারসাজিতে জড়িত রয়েছেন রাজধানীর ব্যবসায়ীরা। তিন থেকে চার হাত বদলে বেড়ে যায় ডাবের দাম।

তবে বৈঠকে দাম নির্ধারণ নিয়ে পাইকার ও খুচরা বিক্রেতারা একে-অপরকে দোষারোপ করেন। পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, খুচরা ব্যবসায়ীরা বেশি মুনাফার আশায় ডাবের দাম বাড়াচ্ছে। ১২০ টাকার ডাব ১৮০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

এ সময় ভোক্তা অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ডেঙ্গুকে পুঁজি করে ধাপে ধাপে বাজারকে অস্থির করা হচ্ছে। বাজার স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত দেশব্যাপী অভিযান চলবে। ডাবের বর্তমান দাম অযৌক্তিক। ডাব বেচাকেনায় রসিদ ব্যবহার না করলে ব্যবসা বন্ধ করে দেয়া হবে।

ডাবের অস্বাভাবিক দাম বাড়ায় বিস্ময় প্রকাশ করে এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, আমি কখনও ভাবিনি ডাব নিয়ে আলোচনা সভা করতে হবে। বাংলাদেশেই প্রথম আবিষ্কার হয়েছে ‘ডেঙ্গু ডাব’। এখানে (ডাব নিয়ে) কাজ করতে হবে আমি কখনও ভাবিনি। এখন থেকে ডাব ব্যবসায়ীদের মূল্য তালিকা টাঙিয়ে রাখতে হবে।

ভোক্তার ডিজি বলেন, অন্যান্য পণ্যের ক্ষেত্রে যেমন ডলার সংকট বা বৈশ্বিক প্রভাবের কারণে মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে বলা হয়ে থাকে, কিন্তু ডাবের মূল্য বৃদ্ধির কোনোর যৌক্তিকতা আছে বলে আমি মনে করি না। ডাবের দাম বৃদ্ধির সুযোগ এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত প্রত্যেকে নিচ্ছে।

জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিকার অধিদফতরের ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মণ্ডল বলেন, কাওরান বাজারে অভিযানের পর ডাব ব্যবসায়ীরা ছোট ডাব ৪৫ টাকা, মাঝারি ডাব ৬০ টাকা এবং বড় ডাব ৭০ টাকায় উপস্থিত ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে। এ দামে ডাব বিক্রি করলেও তাদের মুনাফা হবে বলে আড়তদাররা জানান।

যাত্রাবাড়ী এলাকার ডাবের আড়তদার রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের কাছে ভোলা, বরিশাল, নোয়াখালী ও পিরোজপুর থেকে ব্যাপারীরা পরিবহনে চালানসহ ডাব পাঠান কিন্তু কোনো পাকা রসিদ দেন না। তারা মৌখিকভাবে ডাবের মূল্য নির্ধারণ করে দেন। মোকাম থেকে গড় দামে ডাব আসে। তারপর বিভিন্ন সাইজ অনুযায়ী আমরা সেই ডাব বিক্রি করি। ডাব বিক্রির ক্ষেত্রে কেউ মূল্য ঠিক করে দেয় না, আমরা নিজেদের মতোই মূল্য নির্ধারণ করে থাকি।

সূত্র: সমকাল

c24


 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Jamin

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ